রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১০

কে বলতে পারে কোন যুগটা বেশি কঠিন...

স্লো পিচ। তার পর এত ক্যাচিং ব্যর্থতা। অতীতের ক্রিকেট হলে ভারত টেস্ট থেকে মুছে গিয়ে ড্র অথবা হার, যৌথ সম্ভাবনার যে কোনওটার দিকে এগিয়ে যেত। আধুনিক ক্রিকেট বলে হল না। যেখানে পরিবেশ থেকে সাহায্য না পেয়ে, বলের চামড়া না তুলেও পেসার রিভার্স সুইং করানোর কৌশল আয়ত্ত করে ফেলেছে। টেস্ট ক্রিকেট এত বদলে গিয়েছে এখন যে, সামনের সারির একাধিক অজি ব্যাটসম্যানকে এ দিন মিডল স্টাম্প গার্ড নিয়ে খেলতে দেখা গেল। স্টাইলটা আর আসল নেই। কার্যকারিতা আসল হয়ে গিয়েছে। তা পুরনো ব্যাকরণকে যতই সজোরে ধাক্কা দিক। অথচ সে সব অ্যাডজাস্টমেন্ট করে-টরেও জাহিরের চা-পরবর্তী স্পেলে (৪-২-৩-২) নাকানিচোবানি খেল অষ্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাটসম্যানদের শিরোস্ত্রাণ ছিল না ঠিকই। আবার রায়নার মতো ফিল্ডারের সঙ্গে কালেভদ্রে দেখা হত। মোহালির মতো ঘাসে ভরা মাঠে রিভার্স সুইংও খেলতে হত না। কে বলতে পারে কোন যুগটা বেশি কঠিন। ও হ্যাঁ, আগেকার দিন হলে প্রথম দিনের ঠুকঠুকুনি আর পিচ বিচারে লেখা যেত আকাশে ড্রয়ের গন্ধ। আধুনিক যুগে কোনও বিশ্বাস নেই। সব কিছু এমন দ্রুত বদলায় যে কখন কী হবে কেউ জানে না। তা ছাড়া এখানে কোনও অধিনায়কের নামই তো সলমন বাট নয়! 

[গৌতম ভট্রাচার্য]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন