রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১০

অস্ট্রেলিয়ার সেই দিন আর নাই...


স্টিভের অষ্ট্রেলিয়া হলে! ৪২৮ রানে ইনিংস শেষ করার পর দ্রুত টিমের অর্ধেক তখনই গা ঝাড়া দিয়ে মাঠে নেমে যেত। ওপেনাররা মাঠে নেমে আবিষ্কার করত বিপক্ষ চেটেপুটে খেতে তৈরি। যে যার পজিশনে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আম্পায়ারের শুধু ‘প্লে’ বলার অপেক্ষা। এখানে সহবাগ আগে মাঠে ঢুকলেন। অষ্ট্রেলিয়া এল কয়েক সেকেণ্ড বাদে। অবিশ্বাস্য! 

প্রথম দিন রান রেট কম ছিল ঠিক আছে। একটা দিন। টেস্ট সিরিজের প্রথম দিন। সেটা না হয় বোঝা গেল। কিন্তু আজও যখন ভারত তিন বোলারে পর্যবসিত। ইশান্ত শর্মা মাঠের বাইরে কাল অতক্ষণ কাটানোয়, সোনার সুযোগ ছিল অষ্ট্রেলীয়দের। নতুন বল নিতে পারছে না ভারত। আইনের গ্যাঁড়াকলে। ইশান্ত ৪৭ ওভার বল করতে পারবেন না বলে জাহিরের সঙ্গে নতুন বল নেওয়ার লোক নেই। ফুটবলে দশ জন নিয়ে ম্যাচ শুরু করার মতন। ব্যাগি গ্রিন হেলমেট তার সুযোগ নেবে না? এত বছর তো এটাই ঐতিহ্য ছিল। ম্যাচে যেই সামান্যতম একটা ফুটো তৈরি হত সেখান দিয়ে ঢুকে পড়তেন হেইডেন! কী ম্যাকগ্রা! কী গিলক্রিস্ট! কোথায় সেই রাজসিক হাবভাব!

টিম পেইন যথেষ্ট কাজের কাজ করেছেন। সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে ইনিংসের ল্যাজটাকে এমন লম্বা করে দিয়েছেন তিনি যে দলের অবস্থাটা আপাত মজবুত। কিন্তু পূর্বসূরী গিলক্রিস্ট যদি বসন্ত হন, পেইন হলেন ‘পেইন’। গ্রীষ্মের দাবদাহ। ড্রাই ডে-র মতো ২ অক্টোবরের ড্রাই ব্যাটিং। অষ্ট্রেলিয়া খেললে মানুষ তো শিল্প চায়। সৃষ্টি চায়। সংহার দেখতে চায়। মজদুরি চায় নাকি?

[গৌতম ভট্রাচার্য]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন