সোমবার, ৪ অক্টোবর, ২০১০

Oye Lucky! Lucky Oye!

Oye Lucky! Lucky Oye! is one film which is going to leave you delighted. Although the ending is debatable. Oye Lucky! Lucky Oye! is well directed and Dibakar Banerjee can take a bow for that. Performance wise this is an Abhay Deol movie. But the highlight of the movie is definitely Paresh Rawal. Brilliant. Neetu Chandra has a smaller role but makes an impact. Manu Rishi is good as Abhay's friend. Special mention is deserved by Manjot Singh, who plays the younger Lucky. Enjoy this one along with pop-corns or coffee. The extra money spent will be justified!

মেরে পাস সচিন হ্যায়...


যোগিন্দর প্রশ্ন করছেন সচিন তেণ্ডুলকরকে। মেরে পাস ওয়ার্ল্ড কাপ হ্যায়। আইপিএল ট্রফি হ্যায়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ উইনার্স মেডেল হ্যায়। সচিন, তুমহারে পাস কেয়া হ্যায়?
সচিন থমকে যাচ্ছেন। তার পর নিচু গলায় বলছেন, মেরে পাস ক্রিকেট হ্যায়।

খেলার পর সচিন যখন বের হচ্ছেন, এক পুলিশ অফিসার এসে বললেন, “হক আই দেখিয়েছে বলটা লেগ স্টাম্পের সামান্য বাইরে ছিল। আউট ছিলেন না আপনি।” সচিন ঘাড় নাড়েন, “রিপ্লে-তে দেখলাম ড্রেসিংরুমে ফিরে।” এর পর আনন্দবাজারের সাংবাদিকের দিকে তাকিয়ে বললেন, “বলটা একটু বেশি স্পিন করেছিল। তাতেই বিট হলাম।” হক আই থেকে আশ্বাস নয়। তাঁকে মনে হল কুরে-কুরে খাচ্ছে ওই ‘বিট’ হওয়াটা। হোক না লেগ স্টাম্পের বাইরে। খেলতে তো পারিনি!

বাজি রেখে বলতে পারি সোমবার সকালে স্টেডিয়ামের পিছনের নেট প্র্যাক্টিস এরিনায় ঢুঁ মারলে সচিনকে পাওয়া যাবেই। নির্ঘাৎ হরভজন বা স্থানীয় কোনও স্পিনারকে নিয়ে নেমে পড়বেন একটু বেশি স্পিন করে যাওয়া বলের পিছনে বাড়তি অধ্যয়নে। ওটাকে ঠিক করতে হবে। সামনে চতুর্থ ইনিংস আসছে না!

[গৌতম ভট্রাচার্য]

রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১০

অস্ট্রেলিয়ার সেই দিন আর নাই...


স্টিভের অষ্ট্রেলিয়া হলে! ৪২৮ রানে ইনিংস শেষ করার পর দ্রুত টিমের অর্ধেক তখনই গা ঝাড়া দিয়ে মাঠে নেমে যেত। ওপেনাররা মাঠে নেমে আবিষ্কার করত বিপক্ষ চেটেপুটে খেতে তৈরি। যে যার পজিশনে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আম্পায়ারের শুধু ‘প্লে’ বলার অপেক্ষা। এখানে সহবাগ আগে মাঠে ঢুকলেন। অষ্ট্রেলিয়া এল কয়েক সেকেণ্ড বাদে। অবিশ্বাস্য! 

প্রথম দিন রান রেট কম ছিল ঠিক আছে। একটা দিন। টেস্ট সিরিজের প্রথম দিন। সেটা না হয় বোঝা গেল। কিন্তু আজও যখন ভারত তিন বোলারে পর্যবসিত। ইশান্ত শর্মা মাঠের বাইরে কাল অতক্ষণ কাটানোয়, সোনার সুযোগ ছিল অষ্ট্রেলীয়দের। নতুন বল নিতে পারছে না ভারত। আইনের গ্যাঁড়াকলে। ইশান্ত ৪৭ ওভার বল করতে পারবেন না বলে জাহিরের সঙ্গে নতুন বল নেওয়ার লোক নেই। ফুটবলে দশ জন নিয়ে ম্যাচ শুরু করার মতন। ব্যাগি গ্রিন হেলমেট তার সুযোগ নেবে না? এত বছর তো এটাই ঐতিহ্য ছিল। ম্যাচে যেই সামান্যতম একটা ফুটো তৈরি হত সেখান দিয়ে ঢুকে পড়তেন হেইডেন! কী ম্যাকগ্রা! কী গিলক্রিস্ট! কোথায় সেই রাজসিক হাবভাব!

টিম পেইন যথেষ্ট কাজের কাজ করেছেন। সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে ইনিংসের ল্যাজটাকে এমন লম্বা করে দিয়েছেন তিনি যে দলের অবস্থাটা আপাত মজবুত। কিন্তু পূর্বসূরী গিলক্রিস্ট যদি বসন্ত হন, পেইন হলেন ‘পেইন’। গ্রীষ্মের দাবদাহ। ড্রাই ডে-র মতো ২ অক্টোবরের ড্রাই ব্যাটিং। অষ্ট্রেলিয়া খেললে মানুষ তো শিল্প চায়। সৃষ্টি চায়। সংহার দেখতে চায়। মজদুরি চায় নাকি?

[গৌতম ভট্রাচার্য]

কে বলতে পারে কোন যুগটা বেশি কঠিন...

স্লো পিচ। তার পর এত ক্যাচিং ব্যর্থতা। অতীতের ক্রিকেট হলে ভারত টেস্ট থেকে মুছে গিয়ে ড্র অথবা হার, যৌথ সম্ভাবনার যে কোনওটার দিকে এগিয়ে যেত। আধুনিক ক্রিকেট বলে হল না। যেখানে পরিবেশ থেকে সাহায্য না পেয়ে, বলের চামড়া না তুলেও পেসার রিভার্স সুইং করানোর কৌশল আয়ত্ত করে ফেলেছে। টেস্ট ক্রিকেট এত বদলে গিয়েছে এখন যে, সামনের সারির একাধিক অজি ব্যাটসম্যানকে এ দিন মিডল স্টাম্প গার্ড নিয়ে খেলতে দেখা গেল। স্টাইলটা আর আসল নেই। কার্যকারিতা আসল হয়ে গিয়েছে। তা পুরনো ব্যাকরণকে যতই সজোরে ধাক্কা দিক। অথচ সে সব অ্যাডজাস্টমেন্ট করে-টরেও জাহিরের চা-পরবর্তী স্পেলে (৪-২-৩-২) নাকানিচোবানি খেল অষ্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাটসম্যানদের শিরোস্ত্রাণ ছিল না ঠিকই। আবার রায়নার মতো ফিল্ডারের সঙ্গে কালেভদ্রে দেখা হত। মোহালির মতো ঘাসে ভরা মাঠে রিভার্স সুইংও খেলতে হত না। কে বলতে পারে কোন যুগটা বেশি কঠিন। ও হ্যাঁ, আগেকার দিন হলে প্রথম দিনের ঠুকঠুকুনি আর পিচ বিচারে লেখা যেত আকাশে ড্রয়ের গন্ধ। আধুনিক যুগে কোনও বিশ্বাস নেই। সব কিছু এমন দ্রুত বদলায় যে কখন কী হবে কেউ জানে না। তা ছাড়া এখানে কোনও অধিনায়কের নামই তো সলমন বাট নয়! 

[গৌতম ভট্রাচার্য]